#Sylhet সিলেট ভ্রমণ।

বাংলাদেশ যে কত সুন্দর তা দেখা পরিপূর্ণ হবে যদি আপনি সিলেট ভ্রমণ করেন।
সব গুলা স্পট যদি ঘুরতে চান তবে হাতে মিনিমাম ১০ দিন সময় নিয়ে যেতে হবে।আমরা চারজনের একটা শর্ট ট্যুর দিছিলাম চার রাত চার দিনের।

প্রথমে রাত ১.৩০ এ শ্যামলীর বাসে উঠছিলাম গাবতলি থেকে।বাস ভাড়া ৪৭০ টাকা।বাস এভেইলএবল।আগে থেকে বুক না দেয়া থাকলেও প্রবলেম নেই।বাস আপনাকে কদমতলী নামিয়ে দিবে ৭/৮ টার দিকে যদি জ্যাম না থাকে।সেখানেই আশে পাশে অনেক ভালো ভালো হোটেল পাবেন থাকার জন্য।চাইলে ট্রেন এও যাওয়া যায় ভাড়া ৩৪০ টা শোভন চেয়ার এ।

প্রথম দিনঃ
প্রথমদিন আমরা জাফলং গেছিলাম।জাফলং এর বাস ভাড়া ৬০ টাকা পার পার্সন।আপনারা চাইলে সিএনজি ভাড়া করেও যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশী পড়বে।যেতে ৩ ঘন্টা মত লাগে।সেখানে যেয়ে দুপুরে খাওয়ার ভালো ব্যাবস্থা আছে।আমরা ১২০ টাকা দিয়ে ভাত ভর্তা গরু আর ডাল খেয়েছিলাম।জাফলং বর্ষার সময় বেশী সুন্দর কিন্ত এখনো যথেষ্ট সুন্দর লাগে।ফেরার পথে একটু হেটে বা সি এনজি করে মামার বাজার চলে যাবেন তাহলে ডিরেক্ট সিলেট এর বাস পাবেন। ওখানে না গেলে সীট পাওয়া যায় না বাসের।আসার পথে লালাখাল ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু আমাদের সময় ছিলো না বলে আমরা খুব বেশী ঘুরতে পারিনি।

দ্বিতীয় দিনঃ
কদমতলী থেকে বিছানাকান্দি ও রাতারগুল এর জন্য সিএনজি ভাড়া পাওয়া যায়।ভাড়ার ক্ষেত্রে দরদাম করে ঠিক করতে হবে।আমরা সারাদিন এর জন্য ১৪০০ টাকাই ঠিক করছিলাম।সকাল ৯ টা থেলে রাত ৮ টা পর্যন্ত।প্রথমে বিছানাকান্দি যাওয়া ভালো কারণ রাস্তা অনেক খারাপ। রাত হয়ে গেলে সমস্যা।নিজস্ব গাড়ি নিয়ে না যাওয়াটাই ভালো কারণ অনেক গুলো মাইক্রোবাস প্রাইভেট কারকে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি রাস্তায়।রাস্তা খুব বেশী খারাপ।বিছানাকান্দি পৌছে নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়।আমরা আপ ডাউন ৮০০ টাকা ভাড়া করছিলাম।রবিবার যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে ভারতের হাট পাবেন স্পটে।অনেক কম দামে চকোলেট পাওয়া যায় ওখানে।বিছানাকান্দি থেকে ফেরার পথে রাতারগুল ঘুরে আসবেন।
প্রথমে ইঞ্জিনের নৌকা করে গোয়াইন নদী দিয়ে মেইন স্পটে নিয়ে যাবে।সেখানে ছোটো ছোটো হাতে বাওয়া নৌকা দিয়ে পুরা বন ঘুরিয়ে দেখাবে এক খরচ এই।

তৃতীয় দিনঃ
এইদিন আমরা শ্রীমঙ্গল ঘুরছিলাম।কদমতলী থেকে ডিরেক্ট বাস পাওয়া যায় ১২০ টাকা করে ভাড়া।কিন্ত আমরা গেছিলাম ট্রেন এ।ভাড়া ৯০ টাকা।ট্রেন এ যাওয়া টাই সব থেকে ভালো কারণ চারপাশের দৃশ্য টা অসম্ভব সুন্দর।সেখানে নেমে সিনজি ভাড়া করছিলাম ৬০০ টাকা দিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্দান,মাধবপুর লেক আর নূরজাহান চা বাগান ঘোরার জন্য।
শুধুমাত্র লাউয়াছড়া তেই ঢুকতে টাকা লাগে।৫০ টাকা করে।পরে আবার ফেরার ট্রেন আছে ৫.১৩ তে।তবে ফেরার আগে ৮ লেয়ারের চা খেয়ে আসতে পারেন।স্বাদ খুব একটা ভালো লাগে নাই যদিও।দাম ৮৫ টাকা।অরিজিনাল দোকানটার নাম আদি নীলকান্ত। সিএনজি ড্রাইভার কে বললেই নিয়ে যাবে।চাপাতি কিনতে হলে ওখান থেকে না কেনাই ভালো।দাম অনেক বেশী।স্টেশন এর কাছে কম দামে ভালো চা পাতি পাওয়া যায়।
সিলেট ব্যাক আসার সময় বাসে আসা ভালো।হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস এ একদম ডিরেক্ট আসে।২ ঘন্টা সময় লাগে।

চতুর্থ দিনঃ
এইদিন ফেরার সময়।সিলেট নেমেই আগে অনলাইন এ ট্রেনের টিকেট বুক দিয়ে রাখছিলাম।সকাল ৭ টার ট্রেন মোটামুটি দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা এসে পৌছায়।

কিছু জিনিশ মাথায় রাখবেন।যেমন ঘুরতে গেলে অবশ্যই ৫ জন এর গুনিতক আকারে যাবেন।তাহলে খরচ অনেক কম হবে।কারণ সি এন জি তে ৫ জন এর বেশী ধরে না।আর সি এন জি ছাড়া সিলেট ট্যুর এক প্রকার অসম্ভব। আর খাওয়া দাওয়ার জন্য সিলেট এ অনেক বিখ্যাত কিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন। পাচ ভাই,পানসী,ভোজন বিলাস এগুলার নাম মোটামুটি সবাই জানে তাই আলাদা করে কিছু বললাম না।শ্রীমঙ্গল এ নেমে খাওয়ার জন্য সাতকরা রেস্টুরেন্ট টা বেস্ট।সিলেট এ খুবি অল্প টাকায় অনেক ভালো খাওয়া যায়।

হাজার হাজার টা খরচ করে বিদেশ ঘোরার আগে নিজের দেশটাকে দেখুন।
আর অবশ্যই আশেপাশের পরিবেশ নোংরা করবেন না।দেশ আমাদের দায়িত্ব ও আমাদের।
হ্যাপী ট্রাভেলিং 😃

Comments

Popular posts from this blog

How to travel for free or cheap money?

#Bhutan বাংলাদেশ থেকে কম খরচে বাই রোডে ভূটান ভ্রমন।

#Khagrachhari একদিনের ভ্রমণে খাগড়াছড়ি।