#Bhutan বাংলাদেশ থেকে কম খরচে বাই রোডে ভূটান ভ্রমন।
সড়ক পথে অক্সিজেনের দেশ ভুটান ভ্রমণ।
ঢাকার দূষিত বাতাস খেতে খেতে একদমই ক্লান্ত হয়ে ঠিক করলাম অক্সিজেনের দেশ ভুটান যাবো।আমি বাজেট ট্রাভেলার,তাই বিমানে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।
আমরা ৩জন বাজেট ট্রাভেলার একত্রিত হয়ে ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করলাম।ফেসবুকের কল্যানে আরও ২জন বাজেট ট্রাভেলার পেয়ে গেলাম।আল্লাহর রহমতে সবাই ভিসা পেয়ে গেলাম।
এবার যাবার পালা......
২০২০ সালে
আমরা ৫জন কল্যানপুর থেকে হানিফ বাসে যাত্রা শুরু করি।বাস ভাড়া-৩২৫০ টাকা।
১ম দিনঃ সকালে বুড়িমারী নেমে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে,ভারতের চেংড়াবান্দা ইমিগ্রেশনে চলে যাই।ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে টাকা ভাংগিয়ে একটা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যাই ভুটানের জয়গাও বর্ডারে,গাড়ি ভাড়া-১৭০০ রুপি।ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে সীল ভিসা নিয়ে আমরা ৫জন ৭ সিটের একটা গাড়ি রিজার্ভ করে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হই, গাড়ি ভাড়া-৩৫০০রুপি।
যাওয়ার পথে গাড়িতে নাস্তার জন্য ফল নিই ২১০রুপি দিয়ে।রাস্তায় দুপুর+রাতের খাবার খেয়ে নিই ৮৬০রুপি দিয়ে।থিম্পু পৌঁছাতে রাত প্রায় ৯টা বেজে যায়।থিম্পুতে আগে থেকেই হোটেল বুকিং করা ছিলো,হোটেলে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুম দিই,হোটেল ভাড়া-৩৫০০রুপি।
১ম দিনের খরচঃ ১৭০০+৩৫০০+২১০+৮৬০+৩৫০০=৮০৭০রুপি/৯,৬৮৪ টাকা।(আমরা ভুটানে সবসময় ভারতীয় রুপি খরচ করেছি)
২য় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আশেপাশের ভিউ দেখে মনটা শান্ত হয়ে গেল,কিছুক্ষনের জন্য মনে হলো ইউরোপ চলে আসছি।আশেপাশের ভিউ দেখতে দেখতে আমাদের ড্রাইভার চলে আসলো,গতকালকের গাড়ির ড্রাইভারের ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ হয়ে তাকেই ৬দিনের জন্য আমাদের সাথে থাকতে বলি।আমরা স্টুডেন্ট+বাজেট ট্রাভেলার তাই ড্রাইভারকে আগেই বলে নিলাম যেন কম খরচের হোটেলে নিয়ে যাই সকালের নাস্তার জন্য এবং সবসময়।সকালের নাস্তা করি ৫১০রুপি দিয়ে।এরপর আমরা থিম্পু সাইড সীনে চলে যাই এবং বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু,ন্যাশনাল মেমোরিয়াল কর্টেন,সিটি ভিউ পয়েন্ট,থিম্পু জং,থিম্পু ডজং,পার্লামেন্ট হাউজ,ইত্যাদি জায়গায় ভ্রমন করি,টিকিট ৭৫০ রুপি।
দুপুরের খাবার খরচ ৪৭০রুপি,ফল+বিকেলে কফি,মোমো ২৩০রুপি।সন্ধায় পারোর উদ্দেশ্যে রওনা হই,রাতে পারোতে থাকি।
গাড়ি ভাড়া-৩৫০০রুপি।
২য় দিনের খরচঃ ৫১০+৪৭০+২৩০+৩৫০০=৫,৪৬০রুপি/৬,৫৫২ টাকা।
৩য় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৪৭০রুপি দিয়ে নাস্তা করে চেলালা পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হই।যাওয়ার পথে পারো এয়ারপোর্টের ভিউটা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।চারিদিকে পাহাড়, তার মাঝখানে ছোট্ট একটা এয়ারপোর্ট।যাওয়ার পথে চা বিরতিতে চা খরচ ১৮০রুপি।চেলালা পাসে যাওয়ার সময় প্রথম বরফের দেখা পায়,এটাই ছিলো আমার প্রথম সরাসরি পাহাড়ে বরফ দেখা।চেলালা পাসে অতিরিক্ত ঠান্ডা ছিলো,তারপরও আমরা টপে চলে যাই।চেলালা পাসে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি পেয়েছিলাম।বিকেলের দিকে আমরা পারো শহরে ফিরে আসি।ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই ৮৯০রুপি দিয়ে।তারপর পারো শহর+আশেপাশে ঘুরে বিকেলে পারো ডজংয়ে যাই,জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিলো।পারো ডজংয়ে ড্রেস ভাড়া নিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য ১০০০রুপি দিয়ে।ঘুরে+ছবি তুলে সন্ধায় হোটেলে ফিরে আসি। রাতের খাবার+কফি ৯৩০রুপি।পারো ডজংয়টা বেশি ভালে লাগার কারণে রাতে লং এক্সপোজারে ছবি তুলতে যাই,নতুন অপরিচিত একটা জায়গায়,কিন্তু কখনো কোন ভয় লাগেনি+কখনো নিজেকে আনসেফও মনে হয়নি।পারোতে হোটেল ভাড়া ২৫০০রুপি+সেদিনের গাড়ি ভাড়া ৩৫০০রুপি।
৩য় দিনের খরচঃ ৪৭০+১৮০+৮৯০+১০০০+৯৩০+২৫০০+৩৫০০=৯৪৭০রুপি/১১,৩৬৪ টাকা।
৪র্থ দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করি ৫৮০রুপি দিয়ে।আজকে টাইগার নেস্ট যাবো,তাই চকলেট+জুস+বিস্কুট কিনে নিই ২৬৫রুপি দিয়ে।গাড়ি যতই আগাই ততই অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে।
আহ!!!আল্লাহর সৃষ্টি কতটা সুন্দর।অবশেষে টাইগার নেস্টের গেটে পৌঁছে যাই। আমরা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে ৫০% ডিসকাউন্টে ৫জন ১২৫০রুপি দিয়ে টাইগার নেস্টের টিকিট কেটে নিই।তারপর হাঁটা শুরু করি, প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমরা টাইগার নেস্টের চুড়ায় পৌঁছায়।ওঠা-নামার সময় অনেক সুন্দর ভিউ পেয়েছিলাম সেদিন।দুপুরের পরে আমরা নিচে নেমে আসি।এসে হোটেলে ফেরার পথে পারো জাদুঘর দেখে হোটেলে চলে আসি।রাতে ৫৪০ রুপি দিয়ে এগ ফ্রাইড রাইস খায়+জুস ১৩০রুপি।হোটেল ভাড়া ২৫০০ রুপি,গাড়ি ভাড়া ৩৫০০রুপি।রাতেই আবার থিম্পুতে চলে যাই।
৪র্থ দিনের খরচঃ ৫৮০+২৬৫+১২৫০+৫৪০+১৩০+২৫০০+৩৫০০=৮৭৬৫রুপি/১০,৫১৮ টাকা।
৫ম দিনঃ সকালে উঠে হোটেলের বাফেট নাস্তা করি।এরপর পাসপোর্টের ফটোকপি করে(২৫রুপি) পুনাখা যাওয়ার পার্মিশন নিয়ে পুনাখার উদ্দেশ্যে রওনা হই।যাওয়ার পথেই দোচুলা পাসে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে ঘুরে দেখি।এটা ভুটানিজদের পন্যভূমি,এখানকার বৌদ্ধ মঠ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।আবহাওয়া ভালো থাকলে এখান থেকেই হিমালয় রেঞ্জ দেখা যায়।গাড়িতে নাস্তার জন্য ফল নিই ৩৭৫রুপি দিয়ে।পুনাখা ডজংয়ে পৌঁছে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে ৫০%
ঢাকার দূষিত বাতাস খেতে খেতে একদমই ক্লান্ত হয়ে ঠিক করলাম অক্সিজেনের দেশ ভুটান যাবো।আমি বাজেট ট্রাভেলার,তাই বিমানে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।
আমরা ৩জন বাজেট ট্রাভেলার একত্রিত হয়ে ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করলাম।ফেসবুকের কল্যানে আরও ২জন বাজেট ট্রাভেলার পেয়ে গেলাম।আল্লাহর রহমতে সবাই ভিসা পেয়ে গেলাম।
এবার যাবার পালা......
২০২০ সালে
আমরা ৫জন কল্যানপুর থেকে হানিফ বাসে যাত্রা শুরু করি।বাস ভাড়া-৩২৫০ টাকা।
১ম দিনঃ সকালে বুড়িমারী নেমে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে,ভারতের চেংড়াবান্দা ইমিগ্রেশনে চলে যাই।ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে টাকা ভাংগিয়ে একটা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যাই ভুটানের জয়গাও বর্ডারে,গাড়ি ভাড়া-১৭০০ রুপি।ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়ে সীল ভিসা নিয়ে আমরা ৫জন ৭ সিটের একটা গাড়ি রিজার্ভ করে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হই, গাড়ি ভাড়া-৩৫০০রুপি।
যাওয়ার পথে গাড়িতে নাস্তার জন্য ফল নিই ২১০রুপি দিয়ে।রাস্তায় দুপুর+রাতের খাবার খেয়ে নিই ৮৬০রুপি দিয়ে।থিম্পু পৌঁছাতে রাত প্রায় ৯টা বেজে যায়।থিম্পুতে আগে থেকেই হোটেল বুকিং করা ছিলো,হোটেলে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুম দিই,হোটেল ভাড়া-৩৫০০রুপি।
১ম দিনের খরচঃ ১৭০০+৩৫০০+২১০+৮৬০+৩৫০০=৮০৭০রুপি/৯,৬৮৪ টাকা।(আমরা ভুটানে সবসময় ভারতীয় রুপি খরচ করেছি)
২য় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আশেপাশের ভিউ দেখে মনটা শান্ত হয়ে গেল,কিছুক্ষনের জন্য মনে হলো ইউরোপ চলে আসছি।আশেপাশের ভিউ দেখতে দেখতে আমাদের ড্রাইভার চলে আসলো,গতকালকের গাড়ির ড্রাইভারের ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ হয়ে তাকেই ৬দিনের জন্য আমাদের সাথে থাকতে বলি।আমরা স্টুডেন্ট+বাজেট ট্রাভেলার তাই ড্রাইভারকে আগেই বলে নিলাম যেন কম খরচের হোটেলে নিয়ে যাই সকালের নাস্তার জন্য এবং সবসময়।সকালের নাস্তা করি ৫১০রুপি দিয়ে।এরপর আমরা থিম্পু সাইড সীনে চলে যাই এবং বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু,ন্যাশনাল মেমোরিয়াল কর্টেন,সিটি ভিউ পয়েন্ট,থিম্পু জং,থিম্পু ডজং,পার্লামেন্ট হাউজ,ইত্যাদি জায়গায় ভ্রমন করি,টিকিট ৭৫০ রুপি।
দুপুরের খাবার খরচ ৪৭০রুপি,ফল+বিকেলে কফি,মোমো ২৩০রুপি।সন্ধায় পারোর উদ্দেশ্যে রওনা হই,রাতে পারোতে থাকি।
গাড়ি ভাড়া-৩৫০০রুপি।
২য় দিনের খরচঃ ৫১০+৪৭০+২৩০+৩৫০০=৫,৪৬০রুপি/৬,৫৫২ টাকা।
৩য় দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৪৭০রুপি দিয়ে নাস্তা করে চেলালা পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হই।যাওয়ার পথে পারো এয়ারপোর্টের ভিউটা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।চারিদিকে পাহাড়, তার মাঝখানে ছোট্ট একটা এয়ারপোর্ট।যাওয়ার পথে চা বিরতিতে চা খরচ ১৮০রুপি।চেলালা পাসে যাওয়ার সময় প্রথম বরফের দেখা পায়,এটাই ছিলো আমার প্রথম সরাসরি পাহাড়ে বরফ দেখা।চেলালা পাসে অতিরিক্ত ঠান্ডা ছিলো,তারপরও আমরা টপে চলে যাই।চেলালা পাসে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি পেয়েছিলাম।বিকেলের দিকে আমরা পারো শহরে ফিরে আসি।ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই ৮৯০রুপি দিয়ে।তারপর পারো শহর+আশেপাশে ঘুরে বিকেলে পারো ডজংয়ে যাই,জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিলো।পারো ডজংয়ে ড্রেস ভাড়া নিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য ১০০০রুপি দিয়ে।ঘুরে+ছবি তুলে সন্ধায় হোটেলে ফিরে আসি। রাতের খাবার+কফি ৯৩০রুপি।পারো ডজংয়টা বেশি ভালে লাগার কারণে রাতে লং এক্সপোজারে ছবি তুলতে যাই,নতুন অপরিচিত একটা জায়গায়,কিন্তু কখনো কোন ভয় লাগেনি+কখনো নিজেকে আনসেফও মনে হয়নি।পারোতে হোটেল ভাড়া ২৫০০রুপি+সেদিনের গাড়ি ভাড়া ৩৫০০রুপি।
৩য় দিনের খরচঃ ৪৭০+১৮০+৮৯০+১০০০+৯৩০+২৫০০+৩৫০০=৯৪৭০রুপি/১১,৩৬৪ টাকা।
৪র্থ দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করি ৫৮০রুপি দিয়ে।আজকে টাইগার নেস্ট যাবো,তাই চকলেট+জুস+বিস্কুট কিনে নিই ২৬৫রুপি দিয়ে।গাড়ি যতই আগাই ততই অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে।
আহ!!!আল্লাহর সৃষ্টি কতটা সুন্দর।অবশেষে টাইগার নেস্টের গেটে পৌঁছে যাই। আমরা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে ৫০% ডিসকাউন্টে ৫জন ১২৫০রুপি দিয়ে টাইগার নেস্টের টিকিট কেটে নিই।তারপর হাঁটা শুরু করি, প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমরা টাইগার নেস্টের চুড়ায় পৌঁছায়।ওঠা-নামার সময় অনেক সুন্দর ভিউ পেয়েছিলাম সেদিন।দুপুরের পরে আমরা নিচে নেমে আসি।এসে হোটেলে ফেরার পথে পারো জাদুঘর দেখে হোটেলে চলে আসি।রাতে ৫৪০ রুপি দিয়ে এগ ফ্রাইড রাইস খায়+জুস ১৩০রুপি।হোটেল ভাড়া ২৫০০ রুপি,গাড়ি ভাড়া ৩৫০০রুপি।রাতেই আবার থিম্পুতে চলে যাই।
৪র্থ দিনের খরচঃ ৫৮০+২৬৫+১২৫০+৫৪০+১৩০+২৫০০+৩৫০০=৮৭৬৫রুপি/১০,৫১৮ টাকা।
৫ম দিনঃ সকালে উঠে হোটেলের বাফেট নাস্তা করি।এরপর পাসপোর্টের ফটোকপি করে(২৫রুপি) পুনাখা যাওয়ার পার্মিশন নিয়ে পুনাখার উদ্দেশ্যে রওনা হই।যাওয়ার পথেই দোচুলা পাসে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে ঘুরে দেখি।এটা ভুটানিজদের পন্যভূমি,এখানকার বৌদ্ধ মঠ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।আবহাওয়া ভালো থাকলে এখান থেকেই হিমালয় রেঞ্জ দেখা যায়।গাড়িতে নাস্তার জন্য ফল নিই ৩৭৫রুপি দিয়ে।পুনাখা ডজংয়ে পৌঁছে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে ৫০%
Comments
Post a Comment