#Hungary কম খরচে হাঙ্গেরির বোদাপেস্ট শহর ভ্রমণ।
Hungary Tour 2020
আজ শেয়ার করবো আমার হাঙ্গেরি ভ্রমণের গল্প।। ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণের জন্য হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট (Budapest)একটি অসাধারণ জায়গা।অনেক ইতিহাস পাবেন আপনি এই বুদাপেস্টে।
@তো শুরু করা যাকঃ
প্রায় অনেক মাস পর আমি গ্রুপে রিভিউ দিচ্ছি। আমি দেশ থেকে চলে আসার পর অনেক দিন কোন ট্যুর হচ্ছিল না। আমি যেহেতু অস্ট্রিয়া থাকি তাই প্লান করলাম আসে পাশ থেকে একটি ছোট্ট ট্যুর দিয়ে আসি। আর আমি যেহেতু একজন ভ্রমণ পিয়াসী তাই ট্যুর দিতে না পারলে একেবারে অসহ্য লাগে। তাই প্লান করে ঠিক করলাম হাঙ্গেরি যাবো এর পর না হয় এক এক করে বাকি ইউরোপের দেশ গুলো ঘুরবো। যেই কথা সেই কাজ।ব্যাগ গুছিয়ে চলে গেলাম Praterstern সেখান থেকে ট্রেনের টিকিট করে ফেললাম আপডাউন। আমাদের ট্রেন ছিল OBB. এটি মূলত অস্ট্রিয়ান ট্রেন এবং খুবি চমৎকার একটি ট্রেন যা ভ্রমণের জন্য খুবি আরামদায়ক।ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরেছিল ৩০ ইউরো করে। যাই হোক ট্রেনের টিকিট নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম Hauptbahnhof... ঐখান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই ট্রেন চলে এলো প্লাটফর্মে । আমাদের ট্রেনটি একমিনিট দেরি করে নি । একদম নির্ধারিত সময়ে প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায় বুদাপেস্টের উদ্দেশে। ট্রেনে যাবার সময় বাহিরের ভিউ ছিল অসাধারণ।। তবে এতো জোড়ে চলছিল যে ভিডিও ঠিক মতো করতে পারছিলাম না...।। আমাদের ট্রেন যখন অস্ট্রিয়া ক্রস করে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে তখন কিন্তু বর্ডারে কোন চেক হয় নি তবে হাঙ্গেরি থেকে যখন ব্যাক করেছিলাম তখন কিন্তু ঠিক চেক হয়েছিল ... ।। যাই হোক ঠিক ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট লাগলো ভিয়েনা থেকে বুদাপেস্ট।।তো ট্রেন থেকে নেমে কেলেটি স্টেশনে মানি এক্সচেঞ্জ্ এর জন্য যেতে থাকি... বলে রাখা ভালো এই কেলেটি স্টেশন হচ্ছে হাঙ্গেরির সবচাইতে বড় স্টেশন... অনেক পর্যটক আসে এই স্টেশন টি দেখতে।। যাই হোক আমরা একটি মানি এক্সচেঞ্জ পেয়ে গেলাম সেখান থেকে আমরা ইউরো এক্সচেঞ্জ করে নিলাম । সব চাইতে মজার কথা হাঙ্গেরিতে কিন্তু ইউরো চলে না সেখানে চলে হাঙ্গেরিয়ান্ট ফরিন্ট যার মান আমাদের বাংলাদেশের টাকার থেকেও অনেক নিচে।। মানে বাংলাদেশের ২৮৬ টাকায় আপনি পাবেন ১০০০ হাঙ্গেরীয়ান্ট ফরিন্ট।। যাই হোক আমরা ১০০ ইউরো ভেঙ্গে ২৬০০০ হাঙ্গেরিয়ান্ট ফরিন্ট পেলাম । এক্সচেঞ্জ এর পর বাহিরের টিকিট বুথ থেকে দুজনের জন্য দুটি সিঙ্গেল টিকিট করে ফেললাম ২৪ ঘন্টার জন্য। যা দিয়ে আপনি বাস ট্রাম কিংবা মেট্রোতে চলা চল করতে পারবেন ২৪ ঘন্টার জন্য, যাই হোক বাসে করে চলে গেলাম একেবারে লাস্ট স্টোপিজ যেখানে আমাদের হোটেল আর কি। আমরা হোটেল বুক করি অনলাইনে Booking.com থেকে ।হোটেলের নাম ছিল Unique studio at the Danube. এটি মূলত ডানুবে নদীর একেবারে পাশেই ছিল। যাই হোক হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো ।আমরাও হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেলাম কিছু খাবার জন্য। সেখানে মানে হোটেলের নিচেই পেয়ে গেলাম mcdonald's সেখান থেকে ফিস বার্গার খাই।এর পর পাশের একটা সুন্দর ব্রিজ রয়েছে সেখানে গেলাম এবং কিছু টা সময় কাটালাম। ঐ ব্রিজ থেকে বুদাপেস্টের সকল কিছু দেখা যায়। আর রাতের বেলার খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়।ব্রীজ এর নাম ছিল Margaret Bridge । যাই হোক ব্রীজ থেকে নেমে আমরা চলে যেতে থাকি বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট এর দিকে ।ব্রীজ থেকে বেশী একটা দূরে না পার্লামেন্ট। যাবার সময় রাস্তায় পরলো অলিম্পিয়া পার্ক । সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে চলে যাই পার্লামেন্ট এর কাছে । সুবিশাল বড় একটি পার্লামেন্ট। পার্লামেন্ট এর আশেপাশে অনেক স্ট্যাচু বসানো ... এবং নিচে রয়েছে যাদুঘর। যাই হোক অল্পকিছুক্ষণ ঘুরে চলে আসি হোটেলে তবে আসার আগে হোটেলে রান্না করে খাবার জন্য কিছু কেনা কাটা করলাম যেহেতু আমাদের হোটেল টি এপার্টমেন্ট টাইপের মানে রান্নার বেবস্থা আছে তাই।একটা এশিয়ান দোকান থেকে কিছু বাজার করলাম ।।
দ্বিতিয় দিনঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করে বেড়িয়ে পরলাম। রাস্তা পার হয়ে ২ নাম্বার ট্রাম ধরে চলে এলাম বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট এর সামনে। পার্লামেন্ট রাতের বেলা দেখতে এক রকম আবার দিনের বেলা অন্নরকম। অনেক অনেক পর্যটক আসে সেখানে। আপনি পার্লামেন্ট এর নিচের যাদুঘরে ঢুকতে পারবেন সেখানে ঢুকতে কোণ টাকা লাগবে না... । পার্লামেন্ট এর সামনে একটি সার্কেল রয়েছে । ঐ জায়গাটাকে বলা হয় Kossuth Lajos Square কিছুক্ষণ পর পর সেখানে দায়িত্বরত গার্ড প্যারেড নিয়মে চেঞ্জ হয় । এবং কিছুক্ষণ দাড়ালেই সেটা দেখা যায়। আমরা সেখানে থেকে চলে এলাম যাদুঘরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময়ের একটি হাঙ্গেরির পতাকা দেখতে পেলাম । ছবি তুলতে গেলাম কেও একজন বাধা দিল কারণ শেখানে ছবি তোলা আলাউড না। যাই হোক সেখান থেকে বেড়িয়ে উপরে উঠে পার্লামেন্ট এর বাম দিকে এসে কিছুটা সময় কাটালাম।
এরপর বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট থেকে নিচে নেমে এসে ডানুবে নদীর তীর ধরে হাটতে হাটতে পেয়ে গেলাম Shoes on the Danu
আজ শেয়ার করবো আমার হাঙ্গেরি ভ্রমণের গল্প।। ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণের জন্য হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট (Budapest)একটি অসাধারণ জায়গা।অনেক ইতিহাস পাবেন আপনি এই বুদাপেস্টে।
@তো শুরু করা যাকঃ
প্রায় অনেক মাস পর আমি গ্রুপে রিভিউ দিচ্ছি। আমি দেশ থেকে চলে আসার পর অনেক দিন কোন ট্যুর হচ্ছিল না। আমি যেহেতু অস্ট্রিয়া থাকি তাই প্লান করলাম আসে পাশ থেকে একটি ছোট্ট ট্যুর দিয়ে আসি। আর আমি যেহেতু একজন ভ্রমণ পিয়াসী তাই ট্যুর দিতে না পারলে একেবারে অসহ্য লাগে। তাই প্লান করে ঠিক করলাম হাঙ্গেরি যাবো এর পর না হয় এক এক করে বাকি ইউরোপের দেশ গুলো ঘুরবো। যেই কথা সেই কাজ।ব্যাগ গুছিয়ে চলে গেলাম Praterstern সেখান থেকে ট্রেনের টিকিট করে ফেললাম আপডাউন। আমাদের ট্রেন ছিল OBB. এটি মূলত অস্ট্রিয়ান ট্রেন এবং খুবি চমৎকার একটি ট্রেন যা ভ্রমণের জন্য খুবি আরামদায়ক।ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরেছিল ৩০ ইউরো করে। যাই হোক ট্রেনের টিকিট নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম Hauptbahnhof... ঐখান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই ট্রেন চলে এলো প্লাটফর্মে । আমাদের ট্রেনটি একমিনিট দেরি করে নি । একদম নির্ধারিত সময়ে প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায় বুদাপেস্টের উদ্দেশে। ট্রেনে যাবার সময় বাহিরের ভিউ ছিল অসাধারণ।। তবে এতো জোড়ে চলছিল যে ভিডিও ঠিক মতো করতে পারছিলাম না...।। আমাদের ট্রেন যখন অস্ট্রিয়া ক্রস করে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে তখন কিন্তু বর্ডারে কোন চেক হয় নি তবে হাঙ্গেরি থেকে যখন ব্যাক করেছিলাম তখন কিন্তু ঠিক চেক হয়েছিল ... ।। যাই হোক ঠিক ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট লাগলো ভিয়েনা থেকে বুদাপেস্ট।।তো ট্রেন থেকে নেমে কেলেটি স্টেশনে মানি এক্সচেঞ্জ্ এর জন্য যেতে থাকি... বলে রাখা ভালো এই কেলেটি স্টেশন হচ্ছে হাঙ্গেরির সবচাইতে বড় স্টেশন... অনেক পর্যটক আসে এই স্টেশন টি দেখতে।। যাই হোক আমরা একটি মানি এক্সচেঞ্জ পেয়ে গেলাম সেখান থেকে আমরা ইউরো এক্সচেঞ্জ করে নিলাম । সব চাইতে মজার কথা হাঙ্গেরিতে কিন্তু ইউরো চলে না সেখানে চলে হাঙ্গেরিয়ান্ট ফরিন্ট যার মান আমাদের বাংলাদেশের টাকার থেকেও অনেক নিচে।। মানে বাংলাদেশের ২৮৬ টাকায় আপনি পাবেন ১০০০ হাঙ্গেরীয়ান্ট ফরিন্ট।। যাই হোক আমরা ১০০ ইউরো ভেঙ্গে ২৬০০০ হাঙ্গেরিয়ান্ট ফরিন্ট পেলাম । এক্সচেঞ্জ এর পর বাহিরের টিকিট বুথ থেকে দুজনের জন্য দুটি সিঙ্গেল টিকিট করে ফেললাম ২৪ ঘন্টার জন্য। যা দিয়ে আপনি বাস ট্রাম কিংবা মেট্রোতে চলা চল করতে পারবেন ২৪ ঘন্টার জন্য, যাই হোক বাসে করে চলে গেলাম একেবারে লাস্ট স্টোপিজ যেখানে আমাদের হোটেল আর কি। আমরা হোটেল বুক করি অনলাইনে Booking.com থেকে ।হোটেলের নাম ছিল Unique studio at the Danube. এটি মূলত ডানুবে নদীর একেবারে পাশেই ছিল। যাই হোক হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো ।আমরাও হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেলাম কিছু খাবার জন্য। সেখানে মানে হোটেলের নিচেই পেয়ে গেলাম mcdonald's সেখান থেকে ফিস বার্গার খাই।এর পর পাশের একটা সুন্দর ব্রিজ রয়েছে সেখানে গেলাম এবং কিছু টা সময় কাটালাম। ঐ ব্রিজ থেকে বুদাপেস্টের সকল কিছু দেখা যায়। আর রাতের বেলার খুব সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়।ব্রীজ এর নাম ছিল Margaret Bridge । যাই হোক ব্রীজ থেকে নেমে আমরা চলে যেতে থাকি বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট এর দিকে ।ব্রীজ থেকে বেশী একটা দূরে না পার্লামেন্ট। যাবার সময় রাস্তায় পরলো অলিম্পিয়া পার্ক । সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে চলে যাই পার্লামেন্ট এর কাছে । সুবিশাল বড় একটি পার্লামেন্ট। পার্লামেন্ট এর আশেপাশে অনেক স্ট্যাচু বসানো ... এবং নিচে রয়েছে যাদুঘর। যাই হোক অল্পকিছুক্ষণ ঘুরে চলে আসি হোটেলে তবে আসার আগে হোটেলে রান্না করে খাবার জন্য কিছু কেনা কাটা করলাম যেহেতু আমাদের হোটেল টি এপার্টমেন্ট টাইপের মানে রান্নার বেবস্থা আছে তাই।একটা এশিয়ান দোকান থেকে কিছু বাজার করলাম ।।
দ্বিতিয় দিনঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করে বেড়িয়ে পরলাম। রাস্তা পার হয়ে ২ নাম্বার ট্রাম ধরে চলে এলাম বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট এর সামনে। পার্লামেন্ট রাতের বেলা দেখতে এক রকম আবার দিনের বেলা অন্নরকম। অনেক অনেক পর্যটক আসে সেখানে। আপনি পার্লামেন্ট এর নিচের যাদুঘরে ঢুকতে পারবেন সেখানে ঢুকতে কোণ টাকা লাগবে না... । পার্লামেন্ট এর সামনে একটি সার্কেল রয়েছে । ঐ জায়গাটাকে বলা হয় Kossuth Lajos Square কিছুক্ষণ পর পর সেখানে দায়িত্বরত গার্ড প্যারেড নিয়মে চেঞ্জ হয় । এবং কিছুক্ষণ দাড়ালেই সেটা দেখা যায়। আমরা সেখানে থেকে চলে এলাম যাদুঘরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময়ের একটি হাঙ্গেরির পতাকা দেখতে পেলাম । ছবি তুলতে গেলাম কেও একজন বাধা দিল কারণ শেখানে ছবি তোলা আলাউড না। যাই হোক সেখান থেকে বেড়িয়ে উপরে উঠে পার্লামেন্ট এর বাম দিকে এসে কিছুটা সময় কাটালাম।
এরপর বুদাপেস্ট পার্লামেন্ট থেকে নিচে নেমে এসে ডানুবে নদীর তীর ধরে হাটতে হাটতে পেয়ে গেলাম Shoes on the Danu
Comments
Post a Comment