#Cox'sBazar কক্সবাজার ভ্রমণ কাহিনী।


যাত্রা শুরু- ২১ ফেব্রুয়ারি, যেহেতু টানা ছুটি,তাই মানুষের ভীড় এড়াতে কুতুবদিয়ার ইচ্ছা মাথায় আসছিল।

২১ ফেব্রুয়ারি
পরিকল্পনা ছিল চট্টগ্রাম থেকে ট্রলারে যাবো কুতুবদিয়াতে (ফিরিঙ্গী বাজার ঘাট থেকে সকাল ৬:৩০ এ ছাড়ে, ১০০/- জনপ্রতি)।
কিন্তু ঢাকা থেকে বন্ধুরা পৌঁছতে দেরি হওয়ায়,বাসে যেতে হলো। বাস নিলাম নতুন চাদগাও থানার সামনে থেকে, সানলাইন পরিবহণ, মগনামা ঘাট পর্যন্ত। ভাড়া ১৫০/-
সাড়ে ৩ ঘন্টা লাগলো।
মগনামা ঘাট থেকে ট্রলারে বড়ঘোপ ঘাট ২০/-

বড়ঘোপ ঘাটে নেমে ডিজেলচালিত মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম বড়ঘোপ বাজারে। জনপ্রতি ২০/-

বড়ঘোপ বাজারে সমুদ্র বিলাস সবচেয়ে ভাল হোটেল। ভাড়া ১৫০০/- ৪ জনের রুম। উনাদের আথিতেয়তায় আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
সমুদ্র বিলাসের ফোন নাম্বার: 01789357888
আসার আগে অবশ্যই বুকিং দিয়ে আসবেন।

ওইদিন পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা খাওয়াদাওয়া করেই বাইরে বের হয়ে পড়লাম।
খাবার খরচ এখানে অনেক কম।

বাজার থেকে বড় একটা পলিথিন কিনে চলে গেলাম হোটেলের সামনের সাগর পাড়ে। রাত ২ টা পর্যন্ত আড্ডা চললো। সৈকত একদম নিরাপদ।  তবে রাতে একটু সাবধানে হাটাহাটি করা ভাল। অনেকেই এই সৈকত কে প্রাকৃতিক বাথরুম হিসেবে ব্যাবহার করে।

২২ ফেব্রুয়ারি

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে চলে গেলাম বায়ুকল দেখতে।
বায়ুকল সংলগ্ন সৈকতটা অনেক সুন্দর। একদম ফাকা,জীবন্ত একটা সমুদ্র সৈকত। কিছুক্ষণ ঘুরলে কুতুবদিয়া আসাটা স্বার্থক মনে হবে।
ওখানে বেশকিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে,গোসল করে হোটেলে চলে আসলাম।
দুপুরে খাওয়াদাওয়া এবং বিশ্রামের পরে চলে গেলাম বাতিঘর দেখতে।
যেহেতু পুরানো বাতিঘর টা নেই,তাই কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম দেখে।
কিন্তু সামনের সমুদ্র সৈকতে যখন আসলাম,তখন হতাশা কেটে গেলো। এতো সুন্দর,নিরিবিলি আর পরিষ্কার সৈকত বাংলাদেশে খুব কমই আছে।

সূর্য ডোবা পর্যন্ত ওখানেই ছিলাম।এরপরে ফিরে এলাম হোটেলে। আসার পথে স্থানীয় বাজারে নাস্তা করলাম,বিক্রেতা থেকে শুরু সবাই খুবই অতিথিপরায়ন। কেউ কেউ তো দামও নিতে চায়না।

হোটেলে  কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, পলিথিন টা নিয়ে আবার সমুদ্র সৈকতে আড্ডা। পুরা সৈকতে যখন আপনি একা তখন সমুদ্রটাকে নিজের নিজের মনে হবে।

২৩ ফেব্রুয়ারি
সকালে ঘুম থেকে উঠে,নাস্তা করে চলে এলাম বড়ঘোপ ঘাটে,উদ্দেশ্য মহেশখালি।
ট্রলার ছাড়ে ৯ টাই, ভাড়া ১০০/- জনপ্রতি।
সময় লাগলো সাড়ে ৪ ঘন্টা।

মহেশখালির আদিনাথ মন্দির ঘাটে নেমে কিছু ছবি তুলে,মন্দির গুলা দেখে,খাওয়াদাওয়া করে চলে এলাম আরেকটা ঘাটে।
(মহেশখালি ঘুরার সময় সাবধান থাকবেন,ইজিবাইক থেকে খাবার হোটেল সবাই জোচ্চর টাইপের)

ঘাট থেকে স্পিড বোটে আসলাম কক্সবাজারের ৬ নং ঘাটে (৭৫/- জনপ্রতি)
সেখান থেকে ইজিবাইক নিয়ে হোটেলে আসলাম।

কক্সবাজার লাবণি পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলি পয়েন্ট ঘুরে রাতে হোটেলে ফিরলাম।

২৪ ফেব্রুয়ারি
সকালে উঠে সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হলাম…

(সর্বোপরি কম খরচে ঘুরার জন্য কুতুবুদিয়া একটা ভাল জায়গা)
*যেখানেই ঘুরতে যাবেন,পরিবেশের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। আপনার দ্বারা যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়।

Comments

Popular posts from this blog

How to travel for free or cheap money?

#Bhutan বাংলাদেশ থেকে কম খরচে বাই রোডে ভূটান ভ্রমন।

#Khagrachhari একদিনের ভ্রমণে খাগড়াছড়ি।